Low cost SEO in Bangladesh

এসইও’র পূর্ণরূপ হচ্ছে ‘সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেমশন’।

অনলাইনে তথ্য নেয়ার জন্য আমরা যেসব ইঞ্জিন ব্যবহার করে থাকি, সেসব ইঞ্জিনকে সার্চ ইঞ্জিন বলে। বিশ্বের জনপ্রিয় কিছু সার্চ ইঞ্জিন হল গুগল, ইয়াহু এবং বিং।

 এ সব সার্চ ইঞ্জিনে কোন কিছু লিখে সার্চ দিই, তখন গুগল কিংবা ঐ সার্চ ইঞ্জিন কতগুলো রেজাল্ট দেখায়। সেসব রেজাল্ট থেকে আমরা আমাদের পছন্দমত লিংকে ক্লিক করে আমরা কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আমাদের দরকারি তথ্য খুঁজে পাই। আর যেই কারণে গুগল কিংবা কোন সার্চ ইঞ্জিন ওই রেজাল্টগুলো দেখায়, সেই কারণ কিংবা পদ্ধতিকে বলা হয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

 কেন এসইও করা হয়?

আপনি ডিজিটাল মিডিয়ায় অন্যদের থেকে ব্যবসায় এগিয়ে থাকতে এসইও করা আপনার জন্য জরুরি। নিচে কয়েকটি কারণ তুলে ধরছি-

আমরা আমাদের ওয়েবসাইট বা পেইজকে সার্চ ইঞ্জিনে RANK করানোর জন্যে এসইও করে থাকি। এসইও করার মাধ্যমে আমরা সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেইজের প্রথমে থাকার চেষ্টা করি। কারণ মানুষ যখন কোনকিছু নিয়ে সার্চ দেয় তখন রেজাল্ট পেইজের প্রথমে যারা থাকে তাদের লিংকেই ক্লিক করে।

বিষয়টি সহজে বুঝার জন্য একটা উদাহরণ দিচ্ছি।

মনে করুন, আপনার একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি চশমা বিক্রি করেন। এখন আপনার চাওয়া থাকবে যে গুগলে কেউ যখন ‘অনলাইন চশমা দোকান’ লিখে সার্চ দিবে তখন যেন গুগলে আপনার ওয়েবসাইটকেই প্রথমে দেখায়। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের লিংকে ক্রেতারা এসে আপনার পণ্যটি কিনবে।

এখন এইযে পুরো পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটকে গুগল “অনলাইনে চশমা দোকান এই কিওয়ার্ডের জন্যে দেখাবে, সেটাকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ভাষায় এসইও বলে।  

 এক জরিপে দেখা গেছে, অনলাইনে কোনো জিনিস সার্চ দিয়ে প্রথমবার-ই কিনতে আসা মানুষের সংখ্যা মাত্র ৩%। ১৭% মানুষ সার্চ দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে, পরবর্তী সময়ে সে ঐ পণ্য কিনে থাকে।

এখন গুগলে যদি ‘বেস্ট পিকাপ ডেলিভারি সার্ভিস‘ লিখে সার্চ দেয় এবং আপনার ওয়েবসাইট যদি প্রথমেই থাকে, পরবর্তীসময়ে সে আপনার সার্ভিস নিবে- এমন সম্ভাবনা-ই বেশি।

এসইও সম্পন্ন ওয়েবসাইটের সাথে সাধারণ ওয়েবসাইটের পার্থক্য:

ধরেন, আপনি একটি পুকুর দিয়েছেন। সে পুকুরে নানাবিধ মাছের চাষ করা শুরু করলেন। মাছ যেন সঠিকভাবে বাড়ে, এজন্য বাজার থেকে মাছের জন্য বিভিন্ন খাদ্য নিয়ে আসলেন। দেখতে দেখতে মাছ বাড়তে লাগল। বছরখানেক এভাবে চাষ করার পরে সিদ্ধান্ত নিলেন, মাছ ধরবেন। মাছ ধরার জন্য জেলে নিয়ে আসলেন। তারা মাছ ধরে আপনার বিভিন্ন পাত্রে রাখতে লাগল। তারপর আপনি কি করবেন?

আপনার পুকুরের মাছ বিক্রি করার জন্য আপনাকে কোনো না কোনো পন্থা অবলম্বন করতে হবে।

এসইও’র দৃষ্টিকোণ থেকে, আপনার অবস্থা এখন সাধারণ ওয়েবসাইটসম্পন্ন মালিকের মত। যার অনেক সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সার্চ ইঞ্জিনে প্রচারের অভাবে কাস্টমার আসছে না।

এখন অবস্থা অনুসারে আপনাকে পদক্ষেপ নিতে হবে।

১ নম্বর পদক্ষেপ নিলে মাছগুলো একসময় আপনার পাত্রেই মারা যাবে।

২ নম্বর পদক্ষেপও নিতে পারেন। এতে মাছ বিক্রি করার জন্যও বেশ কয়েকজন লোক জোগাড় করতে হবে। মাছ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও থাকবে। দিনশেষে সব মাছ বিক্রি হয় কিনা সন্দেহ। এমনও হতে পারে, মাছবিক্রি করার জন্য লোক জোগাড় করতে যে পরিমাণ খরচ করেছেন, সে টাকাও উঠে আসছে না।

৩ নম্বর পদক্ষেপ নিতে পারেন। হাটবার এবং আপনার মাছের পরিমাণ অনুসারে পর্যাপ্ত কাস্টমার আছে কিনা খেয়াল রাখবেন। সবকিছু মিলে গেলে আপনি ভাল দামও পেতে পারেন।

৪ নম্বর পদক্ষেপও আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। পাইকারগণ পুকুরঘাট থেকে উপযুক্ত মূল্যে মাছ নিয়ে গেলে আপনার-ই লাভ।

মোটকথা হল পুকুরে শুধু মাছ উৎপাদন করলে হবে না, আপনাকে মাছ উপযুক্তমূল্যে বিক্রিও করতে পারতে হবে।

আর এ মাছ বিক্রির কৌশলে যেমন যথোপযুক্ত প্রচার গুরুত্বপূর্ণ, ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রেও এসইও গুরুত্বপূর্ণ।

 

ডিজিটাল মার্কেটিং এবং এসইও‘র মধ্যে পার্থক্য:

ডিজিটাল মার্কেটিং এবং এসইও’র মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের একটি উদাহরণ দিই। ধরেন, গুগল এবং ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিলে সাথেসাথে আপনার পণ্য বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। অনেকটা প্রচার মাইকের মত। আপনি শুনতে না চাইলেও প্রচার মাইক আপনার কানের পাশ দিয়ে বলে যাবে। দরকার মনে হলে কিনবেন, না হয় কিনবেন না।

এক্ষেত্রে এসইও হল ব্যতিক্রম। আপনি কোনো একটি বিষয়ে তথ্য নিতে চাইলেন। আপনার জ্বর হয়েছে। আপনি গুগলে সার্চ দিলেন, ‘কোন ওষুধ খেলে আপনার জ্বর সারবে’। গুগলে কয়েক হাজার ফলাফল দেখানো হল। আপনি প্রথম পেইজের প্রথম দিকের কয়েকটা আর্টিকেল পড়লেন। সে আর্টিকেলগুলো পড়ে আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন, আপনি এখন কোন ওষুধ খাবেন।

এসইও’র ক্ষেত্রে আপনার অবস্থা সে দোকানীর মত। যে প্রচার মাইক দিয়ে প্রচার করছে না, কিন্তু মানুষ খুঁজে খুঁজে তার ফার্মেসী থেকে ওষুধ নিয়ে যাচ্ছে।

এসইও’তে তাৎক্ষণিক ফলাফল পাওয়া যায় না। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের তুলনায় এসইওতে তুলনামূলকভাবে অনেক কম খরচে বেশি কাস্টমার পাওয়া যায়।  আপনার ওয়েবসাইটের জন্য এসইও করাতে Bangla Puzzle Limited থেকে এসইও সার্ভিস নিন।  

এসইও কত প্রকার ও কি কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাষায় এসইও বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। তবে মৌলিক প্রকারগুলো আমরা আজকে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।

 

টেকনিক্যাল এসইও (Technical SEO)

অন-পেজ এসইও (On-Page SEO)

কন্টেন্ট এসইও (Content SEO)

অফ-পেজ এসইও (Off-Page SEO)

লোকাল এসইও (Local SEO)

মোবাইল এসইও (Mobile SEO)

ই-কমার্স এসইও (E-commerce SEO)

 সাধারণ কিছু প্রশ্ন:

প্রশ্ন. আমি একটি ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করেছি, কিন্তু আমার প্রোডাক্ট কেন গুগল সার্চে শো হয় না?

উত্তর: গুগল সার্চে শুধুমাত্র সে সকল প্রোডাক্ট-ই শো হয়, যে গুলো গুগলে সার্চে শো করার জন্য গুগলের নিয়মাবলী অনুসরণ করে জমা দেয়া হয়। হয়ত আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন, কিন্তু এসইও নিয়ে কাজ করেন নি। তাই, গুগল সার্চে আপনার পণ্য শো হয় না।

প্রশ্ন: আমিতো ইতোমধ্যে ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলেছি। যে কোম্পানি বা ডেভেলপার এসইও তৈরি করেছে, তারা এসইও সার্ভিস দেয় না। এখন কি আমার ওয়েবসাইটকে এসইও করা যাবে না?

উত্তর: ওয়েবসাইট তৈরির সময় এসইও’র বিষয় মাথা রেখে করতে পারলে ভাল। তাহলে পরবর্তীসময়ে এসইও করার জন্য এসইও ফার্মের খাটুনি কমে যায়। না হয় ওয়েবসাইটকে এসইও ফ্রেন্ডলি করে আবার ডেভেলপ করতে হয়।

প্রশ্ন: কোনটা ভাল? আগে ওয়েবসাইট তৈরি করা তারপর এসইও করা নাকি প্রথম থেকেই এসইও ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরি?

উত্তর: প্রথম থেকেই এসইও ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরি করা। এতে এসইও ফার্মের কষ্ট কমে যাবে।

প্রশ্ন: আমার ওয়েবসাইটকে এসইও করিয়েছি, কিন্তু কনটেন্ট লিখতে পারিনা বলে র‌্যাংকিং করাতে পারছি না। আপনারা কি কনটেন্ট সার্ভিস দিতে পারবেন?

উত্তর: আমরা এসইও’র পাশাপাশি কনটেন্ট তৈরির সার্ভিসও দিয়ে থাকি।

প্রশ্ন: একটা ওয়েবসাইটকে এসইও করাতে খরচ কত হতে পারে?

উত্তর: এসইও করানোর খরচ নির্ভর করবে, আপনার চাহিদা এবং প্রতিযোগিতার উপর নির্ভর করে।

প্রশ্ন: সবতো বুঝলাম, এসইও ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরির কোনো কোম্পানির খোঁজ দিতে পারবেন?

উত্তর: আপনি নির্দ্ধিধায় আমাদের কাছ থেকে এসইও ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরির সার্ভিস নিতে পারেন।

২৫,০০০ টাকা থেকে আমাদের মাসিক এসইও প্যাকেজ শুরু হয়। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন। 

Need a free 30-minute strategy session.